বিজ্ঞানের ভাষায় একটা কথা খুব প্রচলিত, খুব বলার চেয়েও বলা যায় ক্রিকেটে বিরাট কোহলি যতটা প্রচলিত করে ফেলেছিলেন শতকটাকে,ঠিক সেই ভাবে একটা কথা প্রচলিত, শক্তির নাকি হারিয়ে যাওয়া নেই।তাপ-চাপ কিংবা বলের প্রভাবে এক মাধ্যম থেকে আরেক মাধ্যমে প্রসারিত হবে।মানে এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় যাবে। এমন তত্বের বিশ্বাসীরা কি এটা বিশ্বাস করতে পারেন কোহলির শক্তি মাধ্যম হারিয়েছে? হয়তো বিশ্বাস করবেন না।তবে সেই হারিয়ে যাওয়া শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।কোথায় কিভাবে লুকিয়ে আছে, নাকি স্যাতসেতে শেওলার চাদরে মুরে আছে। সব সম্ভাবনার একটা চূড়ান্ত রূপ আছে, কোহলির সেই শত শতক টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা টাও কি কালসিটে পরে জমে আছে?
কে জানে হয়তো কিং কোহলির এ বেলায়ই শেষ বেলার প্রথম সুর। আর তাই যদি না হয়,তাহলে সবশেষে শতকের বয়স কেনো ১০০০ দিন হবে?
ক্যান ইউ ইম্যাজিন দ্যাট? কোহলি হেলমেট আর ব্যাট এক সাথে সেই ১৯ সালে সবশেষ উচিয়ে ধরেছিলেন।
ইডেন গার্ডেন্সের সেই সবুজ ঘাস আর কোলকাতার ঘরের ছেলে সৌরভের মনেও কি একই সুর বেজেছিলো,এই বুঝি শাচীন'কে টেক্কা দিলো বলে!!
হয়তো গাঙ্গুলির হারমোনিয়ামে সেই রাঘ উঠেছিলো বিরাট কোহলির নামে,তবে সেই রাগ গলা ছেড়ে বেরিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।
৭১ তম শতক ছাড়া ১হাজার বার সূর্য উদয় আর অস্ত যেতে দেখেছে সৌরভ কিংবা কোহলি সমেত পুরো বিশ্ব।
ফুটবলে রোনালদোকে ধরলে আর ক্রিকেটের কোহলি দুজনই দুই মেরুর রাজা।নিজের রাজ্যে কেউ ভাগ বসাবে এমন টা তিনি কখনোই চাননি।তাই নিজেকে পরিশ্রমের অতলে ডুবিয়ে বড় পারফর্মার করেছে।শুধু পারফর্মার নয়,আইপিএল খেলা জশ বাটলার তো মনে করতেন কোহলি মানুষ ই না। মানুষই যদি হবেন তাহলে এই অতিমানবীয় পারফরম্যান্স ই বা কিভাবে করেন??
বাটলারের সেই রহস্য ভেদ হয়েছে,কোহলির রাজত্বে খানিক ভাটা লেগেছে।
আর সেই ভাটার কবাট ছিলেন বাংলাদেশী বোলার এবাদত চৌধুরী।
অনেকে তো ট্রল করে বলেন কোহলি এক সেল্যুটেই মিলিয়ে গেছে!!
তারা বোধহয় জানে না ক্রিকেট পারার বড় ভাই অস্ট্রেলিয়ার শাসনের দিনে কোহলি একা দূর্গের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। স্টার্ক কিংবা কামিন্স সবার আগ্রাসন সেদিন কোহলির সামনে নতজানু হয়ে গিয়েছিল যতটা হওয়া যায়।
ভারত পাকিস্তানের দ্বৈরথ নামে বেনামে বহু উপমায় ব্যবহার হয়,তার চেয়েও বড় কথা পাকিস্তানের বাবর আজমের সাথে তুলনা করাহয় ৭০ শতকের মালিক কোহলির সাথে!! স্টিল লার্নিং পিরিয়ডে থাকা বাবরও হয়তো কোহলির বড় কোনো ফ্যান। ফ্যান না হোক কোহলির শতকের দিকে একটু হলেও তো লোভনীয় ভাব নিয়ে তাকায়।।
এত সব কথার পরেও এক শ্রেণির মানুষের কাছে কোহলি ফুরিয়ে গেছে,তাদের কাছে কোহলির সেভেন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি টা দূরের কোনো গ্রহের প্রানি!!
তবে কিন্তর হিসেব থাকতে পারে,তবে মাঠের খেলায় যে কোহলি অনলি অন!!